আজ বুধবার, ১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঘুরে দাড়ানোর তাগিদ ছাত্রদলের, প্রয়োজন নির্দেশনা

  • কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া মাত্রই আমরা রাজপথে নামবো- সাহেদ
  • আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই- বাবু
  • ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কখনোই পিছপা হতে শিখেনি- সুমন
    সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ

এক যুগ পেরিয়ে গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাহেদ আহমেদকে সভাপতি ও মমিনুর রহমান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৩৫ সদস্যর একটি কমিটির ঘোষণা আসে কেন্দ্র থেকে। কমিটি ঘোষণা দেয়ার পর কয়েকদিন রাজপথ উত্তপ্ত করলেও বর্তমানে অনেকটাই ঝিমিয়ে পরেছে সংগঠনটি। তবে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার সামর্থ্য রয়েছে বলে মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একি সাথে ঘুরে দাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা, প্রয়োজন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নির্দেশনার।

বর্তমানে প্রেক্ষাপট বিশ্লেষনে, ক্ষমতা পুনরূদ্ধারের চেয়েও বেশি প্রয়োজন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। দেড় বছরের মতো সময়ধরে কারাগারে আছেন সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অন্য সব সংগঠনের চেয়েও ছাত্রদলের ক্ষমতা অধিক। যেকোন নেতারই রাজনৈতিক হাতেখড়ি এই ছাত্র সংগঠন থেকেই। আর এসময়টাতে তাদের ভিতরে থাকে অন্য রকম উদ্যম। যেটাকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব। আর তাই নেত্রীর মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চালিকাশক্তি ছাত্রদলকেই আন্দোলনের চাবিকাঠি হিসেবে মনে করছেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকা নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, আমরা জেলা ও মহানগর ছাত্রদল সবসময়ই প্রস্তুত আছি। আমাদের এই ছাত্র সংগঠনের অবিভাবক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আমরা ওয়ার্ড কমিটি নিয়েও কাজ করছি। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়ার সাথে সাথেই আমরা ওয়ার্ড কমিটিগুলো ছেড়ে দিবো। আমরা আমাদের সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সর্বাতœক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মোটকথা আমরা প্রস্তুত আছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া মাত্রই আমরা রাজপথে নামবো।

ঘুরে দাড়ানোর আশ্বাস প্রদান করে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের কোন শাসন নেই। যদি থাকতো তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক আগেই মুক্তি পেতেন। আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্বেও নেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজপথে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। যেহুতু দেশে আইনের শাসন নেই সেহুতু এখন দুর্বার আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া আর কোন রাস্তা আমাদের সামনে নেই। আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি, সংগঠন গোছাচ্ছি। সর্বোপরি আমরা প্রস্তুত আছি, কেন্দ্র থেকে মেসেজ দেয়ার সাথে সাথেই আমরা মাঠে নামবো ইনসাআল্লাহ।

নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের হুঙ্কার দিয়ে দলের সহ-সভাপতি হামিদুর রহমান সুমন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। আমরা মহানগর ছাত্রদলের নেতা থেকে কর্মী পর্যন্ত সকলেই প্রস্তুত আছি। ১৬ বছর পর আমরা কমিটি করেছি। এখন ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে কাজ করছি। কেন্দ্র থেকে যেই মূহুর্তে ডাক দেয়া হবে সেই মূহুর্তেই আমরা মাঠে নামবো। আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কখনোই পিছপা হতে শিখিনি।

মহানগর ছাত্রদলের এমন প্রস্তুতিকে সাধুবাদ জানিয়ে দলের তৃণমুল নেতাকর্মীরা বলেন, ছাত্রদলের হাত ধরেই আসতে পারে বড় ধরনের পরিবর্তন। যারা প্রবীণ রাজনীতি করছে তাদের চেয়ে ছাত্র সংগঠনের শক্তি অনেক বেশি। আন্দোলনের শুরুটা ছাত্রদলের হাত ধরেই আসবে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীরাও প্রস্তুত আছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ